শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বারোমাসি বেবি তরমুজ
আবাদে উচ্ছসিত কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল
টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২ (এনএটিপি) ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেমনের অর্থায়নে
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিএস এর যৌথ উদ্যোগে প্রথম বারের মতো আবাদ করা হয়
বারোমাসি বেবি তরমুজ। ।
জানা গেছে, সরকারি বেসরকারি সমন্বিত সহযোগিতায়
কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের এই সময়ে উচ্চ মূল্যের ফসল আবাদ করে কৃষিকে অনেক দূর
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে বারোমাসি বেবি তরমুজের আবাদে কৃষকদের
আগ্রহী করতে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিাভন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।
জাজিরা
উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের লাউখোলা গ্রামের কৃষক দাদন মিয়া বলেন, কৃষি
বিভাগের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে আমি
বারোমাসি জাতের বেবী তরমুজ আবাদ করেছি। ফলন খুবই ভাল হয়েছিল। কিন্তু ফলন
ঘরে তোলার সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বেশী লাভ করতে পারিনি। তবে
আবহাওয়য়া অনুকূলে থাকলে আমি খরচের তুলনায় তিন-চারগুন লাভবান হতে পারতাম।
এসডিএস এর পরিচালক কামরুল হাসান বাদল বলেন, জাজিরায় ২০ শতক জমিতে ১ জন
কৃষকের মাধ্যমে বেবী তরমুজ আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষক ব্যয়ের তুলনায়
দ্বিগুণ লাভ করেছেন। আশা করছি আগামী মৌসুমে বেবী তরমুজের আবাদ অনেক বৃদ্ধি
পাবে। জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, সুইটব্লাক বা
কালো জাতের বারোমাসি তরমুজ প্রতম বারের মতো আবাদ করা হয়েছে। এ মৌসুমে
আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কৃষক কাংখিত ফলন পায়নি। তবে আগামীতে সুইটব্লাক বা
কালো জাত সহ নতুন গোল্ডেনক্রাউন বা হলুদ জাতের বারোমাসি বেবী তরমুজ
সংযোজনের মাধ্যমে কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও ফসলের নিবীড়তা বৃদ্ধিতে সক্ষম হবো
বলে আমরা আশাবাদী।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমতুল্লাহ
বলেন, বারোমাসি বেবী তরমুজ কৃষির জন্য এক অনন্য সংযোজন। আগে এই জাতের তরমুজ
আমাদেরকে বিদেশ থেকে আমাদানি করতে হতো। কৃষি বানিজ্যিকীকরণের এই লগ্নে
সরকারি বেসরকারি সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এখন এই নতুন জাতের উচ্চমূল্যের ফসল
বেবী তরমুজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। নতুন জাতের এই বেবী তরমুজ কৃষিতে এক অনন্য
সমৃদ্ধ ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে কৃষকদের ব্যক্তিগত
অর্থনৈতিক সাবলম্বিতার পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
বলে আমরা আশাবাদি।
উত্তর সমূহ